শরীয়তপুরের গোসাইরহাটে পাচারের সময় আড়াই হাজার কেজি (৪০ বস্তা ) ইউরিয়া সার জব্দ করেছে উপজেলা কৃষি অফিস।
গত রাতে উপজেলার নাগেরপাড়া ইউনিয়ন বাজার এলাকা থেকে এ সার জব্দ করা হয়। এরপর মঙ্গলবার উপজেলা সার কমিটির মিটিং এ ৪০ বস্তুা সার বাজেআপ্ত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সহকারী কমিশনার (ভূমি) সানিয়া বিনতে আফজল এ আদেশ দেন। পরবর্তীতে এ ধরনের অপরাধের সাথে জড়িত হলে মেসার্স আরিফুর রহমানের লাইসেন্স বাতিল হবে সর্তে মুচলেকা করা হয়।
গোসাইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শাহাবুদ্দিন জানান, শুক্রবার সকালে কোদালপুর বাজারের আরিফুর রহমানের সারের ডিলারে লাইসেন্সে সারের ব্যবসায় করে আসছেন খোকন পাজাল। ঐদিন খোকন পাজলের দোকান থেকে একটি নসিমনে করে দুই হাজার কেজি (৫০ কেজি করে ৪০ বস্তা ) ইউরিয়া সার পার্শ্ববর্তী উপজেলার পাচার করা হচ্ছে- এ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে শরীয়তপুর-নাগেরপাড়া রাস্তার থেকে নসিমনের চালকসহ মেসার্স আরিফুর রহমান সরদারের ডিলারের সার জব্দ করি। আজ মঙ্গলবার উপজেলা সার কমিটির মিটিং এ সার ব্যবসায়ীকে ৩০০ টাকার স্টাম্পে পরবর্তীতে এ ধরনের অন্যার না করার সর্তে মুচলেকা দেয়া হয়।আর জব্দকৃত স্যার ৮ টি ইউনিয়নের ১০০ জন কৃষকের মাঝে বিতরন করা হবে।
তবে এ ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানিয়ে কৃষকরা বলেন, খোকন পাজাল ইউনিয়ন ভিত্তিক সরকারি ভর্তুকির সার চোরাই পথে অন্যত্র চলে গেলে কৃষকের উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং বাজারে কৃত্রিম সার সংকট তৈরি হয়। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক ক্ষোভ ও আলোচনা-সমালোচনা সৃষ্টি হয়৷ তাই এ বিষয় দ্রুত আরো কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন তারা।